শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশে রপ্তানি করা পণ্যের প্রদর্শনকেন্দ্র হচ্ছে কলকাতায়

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করা সব পণ্যের সম্ভার নিয়ে কলকাতায় প্রথমবারের মতো তৈরি হতে চলেছে স্থায়ী প্রদর্শন কেন্দ্র ‘ভারতীয় শোকেস’। ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অব ইন্ডাস্ট্রিজ (আইবিসিসিআই) এবং দ্য কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (সিডব্লিউবিটিএ) যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হচ্ছে এই ভারতীয় শোকেস। আইবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার কলকাতায় দুই সংগঠনের মধ্যে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি হয়েছে।

তিনি জানান ‘ভারতের যত পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি হয়, তার নমুনা বা ক্যাটালগ সেই প্রদর্শনশালায় থাকবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে যে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল বা আমদানিকারকরা আসবেন তাদের বিভিন্ন জায়গায় না ঘুরে একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী ও সাপ্লায়ারস এবং পণ্যও পেয়ে যাবেন।

ভারতীয় শোকেস নামে যেটি শুরু করা হচ্ছে সেটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশ কেন্দ্রিক হবে। ভবিষ্যতে হয়তো সিডব্লিউবিটিএ ভারতের অন্য জায়গায় অন্য কোনো দেশকে নিয়ে এই শোকেস করবে।’ তার আশা ভারতীয় পণ্য ও রপ্তানিকারী সম্পর্কিত প্রদর্শনী ও তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ভারতীয় শোকেস একদিন ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’-এ পরিণত হবে।

অন্যদিকে সিডব্লিউবিটিএ-এর সভাপতি সুশীল পোদ্দার জানান, ‘ভারত প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী বাংলাদেশে রপ্তানি করলেও এখানে সেইসব রপ্তানিকারক পণ্যের কোনো প্রদর্শনী কেন্দ্র নেই। কলকাতার দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি কোনো একটি জায়গায় এই প্রস্তাবিত ‘ভারতীয় শোকেস’ তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। এই শোকেস’-এ ভারত থেকে যেসব পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয় সেগুলো সেখানে রাখা হবে। ভারতীয় ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারীরা তাদের পণ্যের নমুনা, ক্যাটালগ সেখানে প্রদর্শন করতে পারবেন। এর ফলে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা এ দেশের বিভিন্ন পণ্যের বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে পারবেন।’ এর পাশাপাশি আইবিসিসিআইকেও অনুরোধ জানানো হয়েছে বাংলাদেশেও যাতে এ রকম একটি প্রদর্শনী কেন্দ্র করা হয়। সেখানেও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেসব পণ্য রপ্তানি করা হয়, তা রাখা হলে আমাদের ভারতীয় আমদানিকারকরা এক ছাতার তলায় সব সুবিধা পেয়ে যাবেন।’

এই মুহূর্তে ভারত ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক তুঙ্গে রয়েছে বলে জানিয়ে মাতলুব বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশকে একতরফাভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, যাতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য ভারতে আসতে পারে। আজকে দুই দেশের বাণিজ্য লেনদেনের পরিমাণ ৯ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে, আমরা আশা করছি আগামী দিনে এটা ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর