রাজধানীর ছিনতাইকারী চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়। ছিনতাই-পরবর্তী মামলার খরচ চালাতে এ টাকার একাংশ দিয়ে ‘কল্যাণ ফান্ড’ গঠন করা হয়েছিল। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন এ তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাগর, আলী হাসান, সবুজ বিশ্বাস, রকি ওরফে নুরুজ্জামান, মুক্তা বেগম, বেবি আক্তার, নূপুর ওরফে ঝুমুর ও লিটন মিয়া। আবদুল বাতেন বলেন, ছিনতাইয়ের টাকায় গ্রেফতারকৃতদের একটি কমন বা কল্যাণ ফান্ড রয়েছে। পুরুষ ছিনতাইকারীদের অনেকেই এর আগে পাঁচ-ছয় বার করে জেলে গেছেন। নারীরাও দুবার জেলে গিয়েছিলেন। তাদের মামলার খরচ ওই কমন ফান্ড থেকেই বহন করা হতো। প্রতি মাসের ছিনতাই করা টাকা থেকে একটা অংশ ওই ফান্ডে জমা রাখা হতো। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য-সদস্যাদের একটি তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী কোনো মাসে ৫ লাখ, কোনো মাসে ৬ লাখ, কখনো ৪ লাখ, আবার কোনো মাসে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি হিসাব পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, মার্কেটগুলোয় ভিড়ের সময় অমনোযোগী থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের ব্যাগসহ মোবাইল নিয়ে যেত ছিনতাইকারীরা। অনেক সময় নারী ছিনতাইকারীরা ভালোভাবে সেজেগুজে মার্কেটগুলোয় যান। সেখান থেকে টার্গেট করে পরে রাস্তায় ছিনতাই করেন। দ্রুত ও নিরাপদে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে তারা একটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করতেন। ওই মাইক্রোবাসও ছিনতাইয়ের টাকায় কেনা। যাত্রাবাড়ী ও নিউমার্কেট এলাকা থেকে ৯টি মোবাইল ফোন সেট ছিনতাই করতে গ্রেফতার নারী ছিনতাইকারী বেবি আক্তারের মাত্র ৪ ঘণ্টা লেগেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।