সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

দক্ষিণাঞ্চলে চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেট সক্রিয়

পুলিশের কঠোর নজরদারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় হয়ে উঠছে চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেট। সরকারিভাবে এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দর কম নির্ধারণ হওয়ায় সিন্ডিকেটের তৎপরতা বেড়েছে। তবে পাচার ঠেকাতে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ। সীমান্তবর্তী ৭ জেলায় এরই মধ্যে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, প্রতিবছর কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম। ছয় বছরে কোরবানির গরু ও খাসির চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুটে কমেছে ৪০ টাকা। ২০১২ সালে বিক্রি হওয়া ৯০ টাকা বর্গফুট দরের গরুর চামড়া এবার বিক্রি হবে সর্বোচ্চ ৫০ টাকায়। খাসির চামড়ার দর এবার সর্বনিম্ন ১৩ আর সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। সরকারিভাবে এই দর নির্ধারণ করা হয়েছে। খুলনা চামড়া মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সালাম ঢালী জানান, দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ না করার কারণে প্রতিবার চামড়া পাচার হয়। পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়ার দাম অনেক বেশি। ফলে প্রান্তিক খুচরা বা মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সীমান্তের এপার-ওপার সিন্ডিকেটের হাতে চামড়া পৌঁছে দেয়। জানা যায়, খুলনায় প্রতিদিন যে গরু জবাই হয় তার অধিকাংশ চামড়া এখন মাংস বিক্রেতারা নিজেরাই সংরক্ষণ করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। এ কারণে ব্যবসায়িক মন্দায় খুলনার বৃহৎ চামড়ার বাজার শেখপাড়া চামড়াপট্টির অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। সীমান্তবর্তী অনেক স্থানে এরই মধ্যে খুচরা ও মৌসুমী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটে চামড়া পাচারের প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে পাচার ঠেকাতে বহির্গমন পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসানোর কথা জানিয়েছেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. দিদার আহম্মদ। তিনি বলেন, চামড়া পাচার রোধে সাতক্ষীরা, যশোর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বলেন, খুলনার কয়রা, দাকোপ, ডুমুরিয়া ও ফুলতলায় ১২টি বহির্গমন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ঈদের পরবর্তী সময়ে এসব পয়েন্টে সিল করে দেওয়া হবে যাতে চামড়া নিয়ে কেউ সীমান্তের ওপারে যেতে না পারেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর