সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশিদের মূল্যবান সামগ্রী প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকারী নাছির উদ্দিন ওরফে পারভেজ (৩২) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে নিজনামীয় দুটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, একটি সোনার নেকলেস, চারটি সোনার চেইন, দুটি সোনার নূপুর ও দুটি সোনার ব্রেসলেটসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে তুরাগ থানার কামারপাড়া নিশাতনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই ঢাকা মহানগরের একটি বিশেষ দল। পিবিআইর বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতারক নাছির তার বাবা-মায়ের নাম ঠিক রেখে প্রকৃত ঠিকানা টাঙ্গাইল ঘাটাইলের দত্তপাড়া এবং পাবনা সাঁথিয়ার মোহাম্মদপুরের ঠিকানায় আরও একটি পাসপোর্ট তৈরি করেন। ১৫ বছর ধরে তিনি সিঙ্গাপুর থাকলেও দুই বছর পর থেকেই সে ক্যারিয়ার হিসেবে প্রতারণা করে আসছে। ভুক্তভোগীদের অনেকে অভিযোগও করেননি। চলতি বছরই তিনি পাঁচবার সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসেছে।
পিবিআই বলছে, কিছুদিনের পরিচয়ের সুবাদে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. নাসির ৯ আগস্ট পারভেজকে কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও দুটি আইফোন ১০-এক্স মোবাইলসহ মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার মালামাল বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জে থাকা তার শ্যালক সাগরের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বুঝিয়ে দেন। এ জন্য তিনি পারভেজকে নগদ ৯ হাজার টাকা দেন। তবে শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরে নেমে সাগরের কাছে পারভেজ একটি প্যাকেট বুঝিয়ে দিয়ে চম্পট দেয়। পরে দেখা যায় ওই সোনাগুলো এমিটেশন। শুধু একটি ঘটনাই নয়, পারভেজের মতো আরও ক্যারিয়ারধারী পেশাদার প্রতারকের খবর তারা পেয়েছেন। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর প্রবাসী চাঁদপুর জেলা সদর থানার গাজিবাড়ী পুরানবাজার এলাকার মো. আসিফ, নওগাঁ জেলা সদর কালিপুর এলাকার আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর চর সৈয়দপুর এলাকার মো. দিদার, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন চরখাগড়া এলাকার মো. ইমাম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদের তথ্যের বরাত দিয়ে এস এস আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নাসির চলতি বছরই ২৯ লাখ টাকার প্রতারণা করেছে। শুরুর দিকে নির্মাণশিল্পে কাজ করলেও দুই বছর পর এমন আয়ের কারণে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রতারণায় নেমে পড়েন। ভুয়া ঠিকানায় পাসপোর্ট তৈরির সহায়কদের আমরা খুঁজছি। কিছু নামও আমরা পেয়েছি। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।’