সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপির জনসভা ঘিরে এপিসি জলকামান

নিজস্ব প্রতিবেদক

কড়া নিরাপত্তায় শেষ হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এপিসি, জলকামান, টিআর শেলসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই ছিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অবস্থান। বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রহমানসহ অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কিছু লোক আটক হয়েছে। তাদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে। বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিট। বিএনপির সমাবেশ চলছিল। কিন্তু শেষের দিকে হওয়ায় কিছু লোক মৎস্য ভবনের সামনে দিয়ে সেগুন বাগিচার দিকে যাচ্ছিলেন। শিল্পকলার বিপরীতে বাগিচা রেস্টুরেন্টের মোড়ে পৌঁছতেই তাদের ঘিরে ধরে পুলিশ সদস্যরা। তাদের তোলা হয় পুলিশ ভ্যানে। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রমনা থানার সদস্যরা অবস্থান নেয় শিল্পকলা ভবনের পশ্চিম মোড়ে। সঙ্গে ছিল পিকআপ ভ্যান। এই ভ্যানেই অন্তত ২০ কর্মীকে আটকের পর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

 বেলা আড়াইটার দিকে মৎস্য ভবন মোড়ে মারামারির এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রহমানসহ কয়েকজনকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে মৎস্য ভবনে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। দিনের বিভিন্ন সময় সরেজমিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে র‌্যাব পুলিশের কড়া অবস্থান। র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার, পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার, সহকারী কমিশনার, থানার পরিদর্শকদের নেতৃত্বে বিভিন্ন টিম সমাবেশ স্থল ও এর আশপাশে টহল দেয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, আবদুল বাতেন, যুগ্ম কমিশনার মনিরুল আলম, উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভিতরে অবস্থান করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর