শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মুন সিনেমা হলের পাওনা শোধে দুই মাস সময় পেল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার বহুল আলোচিত মুন সিনেমা হলের মূল মালিককে সেই জমি এবং তার ওপর গড়ে তোলা বর্তমান স্থাপনার মূল্য বাবদ ৯৯ কোটি ২১ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য সরকারকে দুই মাস সময় দিয়েছে আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে জানান, মুন সিনেমা হলের মালিক ইতালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেডকে ওই অর্থ দিতে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মত হয়েছে। অর্থ পরিশোধের প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল তিন মাস সময় চাইলে আদালত ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক। মুন সিনেমা হলের মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি ও সাইফুল্লাহ মামুন। এর আগে ১৮ জানুয়ারি মুন সিনেমা হলের মালিককে তিন কিস্তিতে ৯৯ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে এক সময়ের মুন সিনেমা হলের মূল মালিক ছিল ইতালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেড। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে ওই সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ন্যস্ত হয়। ইতালিয়ান মার্বেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম এই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ঘোষিত এক সামরিক ফরমানে বলা হয়, সরকার কোনো সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। মুন সিনেমা হলের সম্পত্তিও এর আওতায় পড়ে যায়। ইতালিয়ান মার্বেল ২০০০ সালে হাই কোর্টে ওই ফরমানসহ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে। ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট হাই কোর্ট রায় দেয়। রায়ে মোশতাক, সায়েম ও জিয়ার ক্ষমতাগ্রহণ সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হয়। সম্পত্তি ফিরে পেতে ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি ইতালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ওই সম্পত্তি অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ এক প্রকৌশলীকে দিয়ে জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই প্রতিবেদন অনুসারে ৯৯ কোটি ২১ লাখ টাকা পরিশোধে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর