রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস

সরকার দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসকে অগ্রাধিকার দিয়েছে : মায়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, সরকার গত ১০ বছরে দুর্যোগ-পরবর্তী ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের পরিবর্তে দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলে দুর্যোগে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পেয়েছে। আজ বিশ্ব যেখানে দুর্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার কথা ভাবছে সেখানে বাংলাদেশ ১০ বছর আগে থেকেই দুর্যোগে মানুষের জীবন ও সহায়সম্পদের ক্ষতি কমিয়ে আনতে কাজ করে আসছে।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ এম এ হাশিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরীন প্রমুখ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসের মধ্যেই নিহিত রয়েছে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার সাফল্য। তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। একই মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় মাত্র ছয়জন লোক মারা যায়। সরকার দুর্যোগে মানুষের মৃত্যুর হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চায়।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবিলায় রোল মডেল। যে কোনো দুর্যোগে বিনা পয়সায় ১০৯০ নম্বরে ডায়াল করলেই দুর্যোগের পূর্বাভাস আবহাওয়া বার্তা জানা যাবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কমাতে হলে সম্পদের ক্ষতি, বাড়াতে হবে দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি’। দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী আলোচনা সভা, র‌্যালি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পোস্টার প্রদর্শন ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকায় আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও মেলার আয়োজন করা হয়। ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের জানমাল রক্ষায় ভূমিকা রাখায় এ বছর সিপিপির ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে পুরস্কৃত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর