শিরোনাম
শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে সিসিলিসের নিষেধাজ্ঞা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিসিলিসে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও প্রতারণার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ছয় মাস কার্যকর থাকবে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশি ও সিসিলিসের নাগরিকদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা প্রতারণার নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে চায় দ্বীপরাষ্ট্রটি। সিসিলিসে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের কর্মীরা কাজ করলেও শুধু বাংলাদেশের বিষয়ে এ কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে দেশটি। কারণ, সম্প্রতি সিসিলিসে বেশকিছু বাংলাদেশি শ্রমিকের নির্যাতিত ও প্রতারিত হওয়ার খবরে নিন্দার ঝড় ওঠে। সেখানে মানব পাচারের অভিযোগে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী গ্রেফতারও হয়েছেন। এটা সিসিলিসে মানব পাচারে প্রথম কোনো গ্রেফতার। সিসিলিসের কর্মসংস্থানবিষয়ক মুখ্য সচিব জুলিয়াস বাকের জানান, ‘বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও প্রতারণার অসংখ্য অভিযোগ আমরা পেয়েছি।

 কিছুটা বিলম্ব হলেও আমরা এটা বন্ধ করতে চাই। এজন্যই আগামী ছয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে আমরা ১ হাজার ৭২৪ নিয়োগকর্তার নিয়োগ প্রক্রিয়ার যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখব। তারা বিশাল অঙ্কের অর্থের মাধ্যমে অবৈধভাবে কর্মী নিয়োগের সঙ্গে জড়িত।’ তিনি বলেন, ‘অনিয়মের মাত্রা সীমা ছাড়িয়েছে। সিসিলিসের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে বড় ধরনের এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান সচিব। সিসিলিসের কর্মসংস্থান বিভাগের শীর্ষ এই কর্মকর্তা জানান, ‘বাংলাদেশি কর্মীদের অনেকে কাজের জন্য এ দেশে আসার আগে বড় অঙ্কের ঋণ করে আসেন। তারা একটি ভালো কাজের প্রত্যাশা করেন। কিন্তু এখানে এসে তারা যেভাবে প্রতারিত বা নির্যাতিত হচ্ছেন তা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এটা কিছুতেই চলতে দেওয়া যায় না।’

জানা যায়, বেশকিছু দ্বীপ নিয়ে গঠিত সিসিলিসে মূলত বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশন ফার্মে কাজ করেন। কিছু কিছু অন্যান্য খাতেও কাজ করেন। একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে কাজ করা ছয় বাংলাদেশির বেতন না দেওয়ায় মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি সেখানকার মিডিয়ায় উঠে আসে। সর্বশেষ গত শুক্রবার ফয়জুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে মানব পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর