বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
সেমিনারে বক্তারা

‘হালদা রিভার কনজারভেশন কমিশন’ গঠন জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বহুমাত্রিক অত্যাচার থেকে হালদা নদীকে বাঁচাতে ‘হালদা রিভার কনজারভেশন কমিশন’ গঠন জরুরি। এটি গঠন হলে প্রাকৃতিক নদীটি রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া হালদাকে ‘জাতীয় নদী’ ঘোষণা করাও এখন সময়ের দাবি।

গতকাল দুপুরে নগরের একটি লার্নিং সেন্টারে পানি অধিকার ফোরামের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) যৌথ উদ্যোগে ‘হালদা নদী রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া। সভাপতিত্ব করেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

বক্তব্য দেন চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের গবেষণা কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি এস এম মুজিব, হালদা নদীর ডিম আহরণকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর প্রমুখ। মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘অবৈধ বালুমহাল, ইঞ্জিনচালিত বোট, তামাক চাষের কীটনাশক, পোলট্রি বর্জ্য, রাবার ড্যামের কারণে পানির প্রবাহে বাধা, অপরিকল্পিত স্লুইস গেট নির্মাণ, কারেন্ট জালে মা-মাছ নিধন, আবাসিকের গৃহস্থালি বর্জ্যসহ বহুমাত্রিক অত্যাচারে হালদা নদীর এখন বিভীষিকাময় অবস্থা। ফলে হালদা নদী তার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে ক্রমে। তবে আশার কথা, সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব উদ্যোগ যদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে হালদা নদীকে দূষণ থেকে রক্ষা করা যাবে।’ বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘হালদার বর্তমান অবস্থা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। সরকার ঠিক করবে হালদা রক্ষায় করণীয়।’ এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, অসুস্থ হলে মানুষ চিকিৎসকের কাছে যায়। নদী প্রকৃতি অসুস্থ হলে মানুষকেই তার দায়িত্ব নিতে হয়। তাই হালদাকে বাঁচাতে আমাদের সবাইকে সমন্বিত প্রয়াসে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর