সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বৈষম্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন দাবি পূরণের বিষয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ থাকায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সরকারপন্থি শিক্ষকদের একটি সংগঠন। তারা নৌকাকে জয়ী করতে একযোগে কাজ করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি’র ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের আমলে প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে কোনো ধরনের বেতনবৈষম্য ছিল না। ২০০৬ সালে সহকারী শিক্ষকদের দুই গ্রেড নিচে নামানো হয়, ২০১৪ সালে এসে সেটি তিন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেড (১২ হাজার ৫০০ টাকা) এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেলের ১৪তম গ্রেড (১০ হাজার ২০০ টাকা) পাচ্ছেন। এতে করে ১৬ বছর চাকরি করার পর একজন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকের বেতন-ভাতায় ২০ হাজার টাকা ব্যবধান তৈরি হচ্ছে। একজন প্রধান শিক্ষক যে স্কেলে চাকরি শুরু করেন সেখানে একজন সহকারী শিক্ষক সেই স্কেলেরও এক গ্রেড নিচে চাকরি থেকে অবসর নেন। এটি আমাদের জন্য অসম্মানের একটি বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকদের তিন ধাপ বেতনবৈষম্য নিরসনে দীর্ঘ পাঁচ বছর আন্দোলন করলেও আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে আমাদের এ দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা একযোগে কাজ করবেন।’

অনুষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক তপন দাসসহ আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।