বুধবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ ভবনের জন্য বিশ্বভারতীকে ১০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ

কলকাতা প্রতিনিধি

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের তরফে ১০ কোটি রুপির চেক তুলে দেওয়া হলো। গতকাল দুপুরে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সহ-উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর হাতে এই চেক তুলে দেন কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিশনের কাউন্সেলর বি এম জামাল হোসেন, কাউন্সেলর মনসুর আহমেদ, ফার্স্ট সেক্রেটারি মোফাকখারুল ইকবাল, বাংলাদেশ ভবনের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সুনীল কুমার বিশ্বাস প্রমুখ। এ ব্যাপারে বিশ্বভারতীর সহ-উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান, ‘বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ এই ১০ কোটি রুপি দেওয়া হয়েছে। মূল অর্থ থেকে প্রাপ্ত সুদের রুপি দিয়েই ভবনের দৈনন্দিন কাজকর্ম করা হবে।’ মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানান, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও খুব শ্রদ্ধা ও সানন্দের সঙ্গে এই অর্থ গ্রহণ করেছি। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর স্মারক হিসেবে নির্মিত এই ভবনটিকে যথাযথভাবে চালিয়ে নিতে যেতে এই মূল অর্থ থেকে প্রাপ্ত সুদের রুপি ব্যয় করা হবে।’

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের লক্ষ্য হিসেবে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালের মার্চে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (মউ) স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। পরে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া জমি ও বাংলাদেশ সরকারের ২৫ কোটি টাকা অর্থায়নে নির্মিত হয় ভবনটি। ভবনটি তৈরি করে ভারত সরকারের ‘ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন’ (এনবিসিসি)।

২০১৮ সালের ২৫ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই ভবনটির দ্বারোদ্ঘাটন হয়। এর পর পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ভবনের গ্রন্থাগার, সেমিনার হল, জাদুঘর সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়।

শান্তিনিকেতনে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ভবনটিতে বাংলাদেশের শিলাইদহে থাকাকালীন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কবিতা, গান ও বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিসহ বাংলাদেশের ইতিহাস রয়েছে। ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ডাকটিকিট, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকারের একাধিক নির্দেশনা রয়েছে এখানে। এ ছাড়াও সুলতানি আমলের বিভিন্ন মুদ্রা, ব্রিটিশ আমলের মুদ্রা, পনেরো-ষোলো শতকের মাটি খনন করে প্রাপ্ত টেরাকোটার মূর্তিসহ একাধিক মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন রয়েছে এখানে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর