সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

পদ্ধতিগতভাবেই ঘুষ খাওয়া সহজ

--------- দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের-দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, সময়মতো দুদকের তদন্ত শেষ না হলে সব দায় কর্মকর্তাদের। তিনি বলেন, পদ্ধতিগত কারণেই এ দেশে ঘুষ খাওয়া সবচেয়ে সহজ কাজ। দুদক প্রধান কার্যালয়ে গতকাল কমিশনের কর্মকর্তাদের ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীও বক্তব্য দেন।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুর্নীতির মামলার তদন্ত নির্ধারিত সময়ে শেষ করার বিষয় দুদক আইনে বলা আছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কেন কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্ত আইন অনুসারে নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হচ্ছে না? কেন কিছু কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারছেন না? এর দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্র্মকর্তাকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, সময়ের মধ্যে স্ব-দায়িত্ব পালন না করার ব্যর্থতার জন্য কেউ কেউ হাজার হাজার অজুহাত দেখান। আবার এ প্রতিষ্ঠানেরই অনেক মেধাবী সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন যারা নির্ধারিত সময়েই মানসম্পন্ন তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। তাহলে যারা ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা কী হতে পারে? নিজেরাই নিজেদের মূল্যায়ন করুন। কমিশন ‘ব্যাপকভাবে পদোন্নতি’ দিয়েছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সবাই পদোন্নতি পেতে চান। কিন্তু দায়িত্ব নিতে চান না। এখন সমন্বিতভাবে কাজ করার সময়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিত কাজের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পায়। জ্ঞান, হোমওয়ার্ক এবং কর্মস্পৃহার সমন্বয় না থাকলে কার্যকর অনুসন্ধান বা তদন্ত করা যায় না জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এ জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। আমরা কর্মকর্তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। প্রশিক্ষণের এ শিক্ষা যাতে নিজ নিজ কর্মে প্রতিফলন ঘটে সেগুলো মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, দুদকের নিজস্ব কেন্টিন রয়েছে। তারপরও কেন আমাদের কেউ কেউ অন্য হোটেলে খেতে যান? আমি এর কারণ বুঝি না। ব্যক্তি কখনো অন্য ব্যক্তিকে পরিবর্তন করতে পারে না জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নিজেই নিজেকে পরিবর্তন করতে হয়। তিনি বলেন, যাদের মান-সম্মানের ভয় নেই, কোনো আত্মমর্যাদা নেই, তাদের পক্ষে ঘুষ খাওয়া সত্যিই সহজ। এই লজ্জাহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হলে দুদক কর্মকর্তাদের এমনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে ঘুষখোরদের আইনের আওতায় এনে লজ্জা পাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।

সর্বশেষ খবর