বরিশাল নগরীর সদর রোডের অভিজাত আবাসিক হোটেল এরিনার একটি কক্ষে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পের কর্মকর্তা প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার (৬৩) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশ তার মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। গোলাম মোস্তফা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এলজিইডি বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পের কর্মকর্তা। তার বাড়ি ঢাকার শেওড়াপাড়া এলাকায়। তিন বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হিসেবে বরিশালে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে ওই হোটেলে অবস্থান নিয়েছিলেন।
বরিশাল এলজিইডিতে কর্মরত প্রকৌশলী আবদুুল হামিদ খান জানান, এরিনা হোটেলের স্টাফরা অফিসে গিয়ে অবহিত করেন প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা দরজা খুলছেন না। এরপর হোটেলে গিয়ে তারাও অনেক ডাকাডাকি এবং দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। এতেও ভিতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশে অবহিত করেন তারা।
দরজা ভিতর থেকে আটকানো থাকায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাথরুমের ফ্লোরে উপুড় অবস্থায় পড়ে ছিলেন গোলাম মোস্তফা। কমোডে থাকাবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে উপুর হয়ে পড়ে গিয়ে তার নাকমুখ ফেঁটে গেছে এবং বুক কালো হয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।প্রকৌশলী হামিদ খান আরও জানান, বরিশালের বিশ্বব্যাংকের চলমান প্রকল্পের কাজ দেখার জন্য ২৬ মার্চ বরিশালে আসেন প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা। ওই সময় থেকেই তিনি এরিনা হোটেলে অবস্থান করছিলেন। বরিশাল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ জামাল উদ্দিন জানান, প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। সম্প্রতি বরিশালে কিছু সাইক্লোন শেল্টারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি সেগুলো পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিলেন। গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি এলজিইডির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপর তিনি গৌরনদীর একটি সাইট পরিদর্শন শেষে ওই দিন বিকাল ৩টা ৪৯ মিনিটে (সিসি টিভির রেকর্ড অনুযায়ী) তিনি হোটেল কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি কোনো মুঠোফোন রিসিভ করেননি। ধারণা করা হচ্ছে হোটেল কক্ষে যাওয়ার পরই তার মৃত্যু হয়।