ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় গতকাল নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হানের সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি পক্ষের ১৬ আইনজীবী তাকে জেরা করেছেন। গতকাল মাদ্রাসার সামনের ওষুধ ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা হওয়ার কথা ছিল। রায়হানের সাক্ষ্য প্রদান ও জেরায় আদালতের কার্যদিবস শেষ হয়ে যাওয়ায় আদালত আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। আজ জহিরুল ইসলাম ও বেলায়েত হোসেনের সাক্ষ্য ও জেরা প্রদানের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এ মামলায় নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা প্রদান শেষ হয়েছে। সকাল ৯টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে মামলার ১৬ আসামিকে জেলা কারাগার থেকে এনে আদালতের কাস্টডিতে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় তাদের ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে হাজির করা হয়। প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ আনেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে নুসরাতকে কৌশলে ডেকে পাশের ভবনের তিন তলার ছাদে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন নুসরাত।