স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মামলা কিংবা ধরপাকড় নয়, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিই সাইবার অপরাধের ঘটনা কমাতে পারে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু লেখা এবং ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই করে নেওয়ার প্রতিও গুরুত্ব দেন তিনি। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি আয়োজিত এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফর উইমেন ইমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক এ আয়োজনে সহযোগিতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ডিইউআইটিএস সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদের সঞ্চালনায় এবং দেবরাজ দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাইবার পুলিশ সেন্টারের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শাহ আলম, বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাইমেন আস সাকিব, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি ফয়সাল আলম প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার অপরাধ এবং গুজব প্রতিরোধে পুলিশকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। বিশেষ করে সাইবার পুলিশ সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে এসব অপরাধ দমনে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়বে।’মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। তাদের দায়িত্ব বেশি। গুজব এবং সাইবার অপরাধ বন্ধে তাদেরও ভূমিকা রয়েছে। সত্য তথ্য প্রচারের পাশাপাশি মিথ্যা তথ্যগুলো চিহ্নিত করে মানুষকে তা জানাতে হবে। মনে রাখতে হবে, ডিজিটাল মাধ্যমে কোনো কিছু মুছে যায় না। রেকর্ড থেকে যায়।