মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহমেদের স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, আরেফ হত্যার বিচারসহ তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে হলে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও মৌলবাদ দূর করতে হবে। ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে লিখতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশ। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কাজী আরেফ আহমেদের ২১তম হত্যা দিবসে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় স্মারক বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি জিয়া উদ্দিন তারেক আলী, প্রয়াত কাজী আরেফের কন্যা কাজী আফরীন জাহান জুলি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সদস্য সচিব হারুন হাবীব, জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কবি মোহন রায়হান, কাজী আরেফ পরিষদের সমন্বয়ক আমিনুল হক মন্টু প্রমুখ।
শাহরিয়ার কবির বলেন, পাকিস্তানিদের দৃষ্টিতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদের ভূমিকা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ড। কিন্তু আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখব, তখন ১৯৬১ থেকে ’৭১ পর্যন্ত সময়কে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও মোক্ষম সময় হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।
কাজী আফরীন জাহান জুলি বলেন, কাজী আরেফ হত্যার বিচারে এ পর্যন্ত তিনজনের ফাঁসি হয়েছে। আরও ৫ জন পলাতক রয়েছে। তাদের ধরে এনে বিচার করতে হবে। এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের বিচারও করতে হবে।কবি মোহন রায়হান বলেন, নির্ভীক দেশপ্রেমিক কাজী আরেফের নেতৃত্বে সেদিন শ্রেণি-বৈষম্যহীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলাম। তার মতো একজন সৎ, নির্লোভ, সাহসী, প্রতিবাদী নেতার অভাব ছিল এবং এখনো আছে।