করোনা আক্রান্ত পলাতক রোগীদের ধরে আনা, মৃত ব্যক্তির সৎকার, জানাজাসহ এ ক্রান্তিকালে হাজারো ইনোভেটিভ কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সদস্যরা সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। এতে পুলিশ সদস্যদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত সারা দেশে পুলিশের আরও ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত ছিলেন ২১৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৪। এদের অর্ধেকের বেশি ঢাকায়। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, দুই লাখ পুলিশ সদস্য সরাসরি মাঠে থেকে করোনার বিস্তাররোধে কাজ করছেন। তাদের যথাসম্ভব সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। এরপরও কাজ করতে গিয়ে পুলিশের সদস্যদের সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য জেনেশুনেই জীবনের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। প্রতিটি কাজেই মানুষের খুব কাছে যেতে হচ্ছে। সে কারণে তারা সংক্রমিত হচ্ছেন। তবে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জানা গেছে, ঢাকায় ১১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নারী পুলিশ এবং পুলিশে কাজ করা সাধারণ কর্মচারীও আছেন। সারা দেশে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।  পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। এ ছাড়া রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটানো, শ্রমজীবী মানুষকে সহায়তা করা, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়াসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নানা ধরনের কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা।

এসব কাজ করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। যাদের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দ্রুত আলাদা করে ফেলা হচ্ছে। তাদের জন্য ডেমরার অস্থায়ী পুলিশ লাইনসে ১০০টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজারবাগ মেহমানখানা এবং মিরপুর মেহমানখানায়ও কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।