রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলব জিয়া

-------------------- আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাত দিন পর চিফ অফ আর্মি, তিন মাস পর ডেপুটি চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং ছয় মাস পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হন। তার এই অগ্রগতি দেখলেই বোঝা যায় তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলব।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল শোকসভায় প্রধান আলোচক হিসেবে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আনিসুল হক বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চপেটাঘাত দেওয়ার জন্য শাহ আজিজুর রহমানের মতো রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী ও শামসুল হককে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। রাজাকার আবদুল আলিমকে মন্ত্রী করেছিলেন। এসবের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা।

মন্ত্রী বলেন, নিজামী-মুজাহিদকে খালেদা জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী না হলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার হতো না। তিনি ২০০৯ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী না হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার  শেষ হতো না। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হতো না। বিগত এক যুগে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা হতো না। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দন্ডপ্রাপ্ত ছয়জনকে আমরা ফাঁসি দিতে পেরেছি। পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থান জানা গেছে।

বাকি তিনজনের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা চলছে। আমরা নিশ্চয়ই তাদের ফিরিয়ে আনব।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় এই ভার্চুয়াল শোকসভায় বাংলাদেশ  থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান  চৌধুরী নওফেল, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য থেকে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও  কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর