মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার মন্তব্য করেছেন, ‘আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে দ্বিতীয়বারে মতো প্রেসিডেন্ট হতে পারলে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে একটি সমঝোতা করার অপেক্ষায় থাকবেন। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে তিনি পিবিএস নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে একটি উপযুক্ত চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় থাকবেন।’ কুশনার আরও দাবি করেন, ট্রাম্প তার প্রথমবারের মেয়াদে দায়িত্ব পালনের সময় ইরানের তেল রপ্তানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। ইরানের বৈদেশিক আয় ও অর্থনীতি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলেও ট্রাম্পের জামাতা দাবি করেন। এর আগে ট্রাম্প নিজেও তার ভাষায় বলেছিলেন, আগামী নভেম্বরে নির্বাচিত হতে পারলে তিন সপ্তাহেরও কম সময়ে তিনি ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করতে সক্ষম হবেন। কুশনার এমন সময় ইরানের তেল বিক্রি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার দাবি করলেন যখন ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান জাঙ্গানে বৃহস্পতিবার বলেছেন, কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও করোনা মহামারীর মধ্যেও ইরানে জ্বালানি সরবরাহ বিঘিœত হয়নি। দেশের ভিতরে যেমন জ্বালানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রয়েছে, তেমনি বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে না। ইরানি কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম তেহরান। তারা আরও বলেছেন, আমেরিকাবিদ্বেষী নীতি পরিহার ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং পরমাণু সমঝোতায় ফিরে এলে তার সঙ্গে ওই সমঝোতার গঠনকাঠামোর আওতায় আলোচনা হতে পারে। এর অন্যথায় সমঝোতা দূরে থাক ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের কোনো আলোচনাই হবে না। পার্সটুডে।