রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

১৫ আগস্টের নেপথ্যের কুশীলবদের বিচার দাবি

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে হাসুমণির পাঠশালা আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় ১৫ আগস্টের নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। ‘আগস্ট এক অন্ধকার অধ্যায়’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা অবলম্বনে গোলটেবিল আলোচনায় এ দাবি জানান বক্তারা। গতকাল দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে আরও ছিল জাকির হোসেন পুলকের চিত্র প্রদর্শনী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এবং প্রধান আলোচক ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। উদ্বোধক ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৫ আগস্টের কুশীলবদের চেহারা উন্মোচন করা দরকার। কে বেঁচে আছে, কে বেঁচে নেই তা বিবেচনা না করে রাষ্ট্রীয়ভাবে কুশীলবদের বিচার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের অনেক রাজনীতিবিদকে হত্যা করা হয়েছে।

কিন্তু পরিবারের সব সদস্যকে একসঙ্গে হত্যা করার মধ্য দিয়ে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট একটি বেদনাদায়ক, নির্মম ও নিষ্ঠুরতম কালো অধ্যায়। দীপু মনি বলেন, বছরের পর বছর রাতের বেলা কারফিউ দিয়ে সরকার চালানো, ক্যুর নাম করে সশস্ত্র বাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধাশূন্য করেছে বিএনপি। সেই বিএনপি কী করে গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করে? তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে আমি রাজনৈতিক দল বলে মনে করি না। বিএনপি একটি তথাকথিত রাজনৈতিক দল। ব্যক্তি ভ্রষ্ট হতে পারে, কিন্তু একটি দল কীভাবে নীতিভ্রষ্ট, আইনভ্রষ্ট হয়? ক্ষমতায় থাকার সময় এবং ক্ষমতার বাইরে থাকার সময়ও তারা দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে। তারা জানে শুধু হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্র। মুরাদ হাসান বলেন, খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান এ দেশকে কলঙ্কিত করেছিল। এ দুজনের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচনের সময় এসেছে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন করে তাদের বিচার করতে হবে। এতে আরও বক্তৃতা করেন সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিংস, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, চিত্রশিল্পী কংকা জামিল, সূচিশিল্পী ইলোরা পারভীন প্রমুখ।

সংগঠনের সভাপতি মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

আলোচনাসূত্র উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম।

জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সর্বশেষ খবর