মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

চালক নিয়োগ দিয়ে গাড়ি চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাড়ি চুরি করতে চালক নিয়োগ দেয় চোরাই চক্রের সদস্যরা। চক্রটি পেশাদার চালকদের গাড়ি চুরির জন্য প্রলুব্ধ করে এবং লোভনীয় প্রস্তাব দেয়। এরপর চুরি করা গাড়ি কখনো বিক্রি করে, কখনো মালিকের কাছে ফেরত দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। এমনই একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাইবার পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঢাকার ডেমরায় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে মিনি ট্রাক বা পিকআপ ভ্যান চুরি করে আসছিল। এ চক্রের সদস্যরা এতটাই চতুর যে সহজে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তারা বিভিন্ন সময় গাড়ি চুরি করার জন্য ওত পেতে থাকত। কোনো চালক গাড়ি রেখে হোটেলে খেতে ঢুকলেই তারা ‘মাস্টার কি’ ব্যবহার করে ইঞ্জিন চালু করে গাড়িটি নিয়ে চলে যেত। প্রাথমিকভাবে চক্রটির সদস্যদের শনাক্ত করা হয়। পরে ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার ডেমরা ও কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

তারা হলেন সোহেল, রুবেল, মনির হোসেন ও আজিজুল। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি চোরাই পিকআপ ভ্যান, নয়টি মোবাইল ফোন, ১৪টি সিম কার্ড, একটি মাস্টার চাবি, প্লাস, স্টিল রেঞ্জ, রেত, হেক্সো ব্লেড উদ্ধার করা হয়।

চক্রটি গাড়িচালকদের চুরির জন্য মোটিভেশন করে, এরপর তাদের লোভনীয় অফার দেয়। চালকদের সঙ্গে মিশে চক্রটি পিকআপ ভ্যান চুরি করে। এরপর গাড়িতে রাখা ডকুমেন্ট থেকে মালিকের মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করে বিকাশে টাকা দাবি করত। বিকাশে তাদের টাকা পাঠালে গাড়ি ফেরত দিত। অনেক সময় টাকা নিয়ে গাড়ি ফেরত না দিয়ে আরও টাকা দাবি করত। পরে চক্রটি গাড়িগুলো তাদের নিজেদের গ্যারেজে নিয়ে বিভিন্ন অংশ খুলে বা পরিবর্তন করে রেখে দিত। ফলে মূল মালিক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের গাড়ি শনাক্ত করতে পারতেন না। অনেক সময় তারা চুরি করা গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে অন্যত্র বিক্রি করত। চক্রটি করোনাকালেও ১৫-২০টি গাড়ি চুরি করেছে।

সর্বশেষ খবর