পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রীর জ্ঞাত আয়বর্হিভূত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আউয়াল দম্পতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান বুলু।
এর আগে দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ক্রোক ও জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রায় ৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দুটিতে আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার ও লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়, এ কে এম এ আউয়াল অবৈধ উপায়ে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মোট ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিকানার তথ্য রয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় আলাদা মামলায় দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।