রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রকাশিত খবর নিয়ে বিআরটিএর ব্যাখ্যা

বাংলাদেশ প্রতিদিনে ১৮ জুন প্রকাশিত ‘ড্রাইভিং লাইসেন্সের অপেক্ষায় ১৫ লাখ মানুষ’ শীর্ষক সংবাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিআরটিএ। ব্যাখ্যায় বিআরটিএ জানিয়েছে, ‘পরীক্ষায় পাস করেও হচ্ছে না ড্রাইভিং লাইসেন্স’ এ তথ্য ঠিক নয়। কারণ পরীক্ষায় পাস করার পর স্মার্টকার্ড আকারে দেওয়া না হলেও সিস্টেম জেনারেটেড কাগজের মাধ্যমে অস্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের স্মার্টকার্ড দিতে বিলম্বের অন্যতম কারণ পুরনো ভেন্ডরের ১৫ লাখ কার্ড ২২ জুন, ২০২১ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অতিরিক্ত চাহিদার কারণে মার্চ, ২০১৯ শেষে প্রায় ১২ লাখ কার্ড বিতরণ শেষ হয়। ওই সময় তৎক্ষণাৎ টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেও অতিরিক্ত ক্রয়াদেশ, টেন্ডার/পুনঃটেন্ডারের মাধ্যমে পণ্য কেনায় নানা রকম আইনগত এবং প্রক্রিয়াগত জটিলতায় এ অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ সম্ভব হয়নি। দেশের যথাযথ বিধিবিধান অর্থাৎ পিপিএ, ২০০৬ এবং পিপিআর, ২০০৮ অনুসরণ করে উন্মুক্ত (আন্তর্জাতিক) টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্টকার্ড সরবরাহ নেওয়ার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে বিআরটিএর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফলে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃক নতুন লাইসেন্সের আবেদনকারীদের স্মার্টকার্ড প্রদান শুরু করা হলেও পুরনো ভেন্ডরের সঙ্গে ২৩ জুন, ২০১৬-এ পাঁচ বছর মেয়াদে সম্পাদিত চুক্তি ২২ জুন, ২০২১-এ শেষ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কাছ থেকে ২৯ জুলাই, ২০২০ তারিখে নবনিযুক্ত ভেন্ডর প্রায় ১২ লাখ আবেদনকারীর ডাটা না পাওয়ায় স্মার্টকার্ড লাইসেন্স প্রিন্ট করতে পারছে না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন দেওয়া প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ বা একনলেজমেন্ট স্লিপ মোটরযান চালানোর অস্থায়ী অনুমতি পত্র বা প্রভিশনাল লাইসেন্স হিসেবে বিবেচিত হয়।

আগ্রহী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে উপেক্ষা করে কাজ দেওয়া হয় মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সকে মর্মে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ঠিক নয়। যথাযথ বিধিবিধান অনুসরণ করে উন্মুক্ত (আন্তর্জাতিক) টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই তাদের সঙ্গে বিআরটিএর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দরপত্রসংক্রান্তে সংশোধন বিষয়ে বক্তব্য হলো : দরপত্র বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারিগরি বিনির্দেশ প্রস্তুতের নিমিত্ত গঠিত কমিটির সুপারিশক্রমে ক্রয় প্রক্রিয়া আরও অবাধ, ব্যাপকীকরণ ও প্রতিযোগিতামূলক করার প্রয়োজনে ওই সংশোধন আনা হয়।

সর্বশেষ খবর