সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই সীমানা নির্ধারণে আইন পাসের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো সংশোধনী ছাড়াই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সংসদীয় এলাকার নতুন সীমানা নির্ধারণের আইন পাসের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বিদ্যমান আইনে নতুন উপ-ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, দৈব-দুর্বিপাকের কারণে কোনো এলাকার সীমানা নির্ধারণ করতে না পারলে আগের নির্বাচনী সীমানা বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদ মোতাবেক নির্বাচন কমিশন (ইসি) সীমানা নির্ধারণ করবে। ইসির সীমানা নির্ধারণের বিষয় নিয়ে দেশের কোনো আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলা যাবে না। নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণের সময় ভৌগোলিক অখন্ডতা বজায় রেখে, আদমশুমারির ভিত্তিতে যতদূর সম্ভব বাস্তবভিত্তিক বণ্টনের কথা বলা হয়েছে।

সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত ‘আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে কোনো সংশোধনী না থাকায় ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’ ও ‘গান্ধী আশ্রম (ট্রাস্টি বোর্ড) বিল, ২০২১’ চূড়ান্ত করা হয়। বিল দুটি জাতীয় সংসদে পাসের উদ্দেশে রিপোর্ট প্রদানের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. শামসুল হক টুকু, মো. আবদুল মজিদ খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, সেলিম আলতাফ জর্জ ও খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বৈঠকে অংশ নেন। নতুন আইনে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা বিদ্যমান আইনে নেই। এ আইন কার্যকর হলে ১৯৭৬ সালের ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্স’ রহিত হবে। সংসদের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং বাংলা ভাষায় আইন প্রণয়ন করতেই মূলত বিলটি আনা হয়। আইন প্রণয়নের সময় বিদ্যমান আইন সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব আমলে নেয়নি মন্ত্রণালয়। পর্যালোচনার সময়ও তা আমলে নেয়নি সংসদীয় কমিটি। তবে নতুন আইনের একটি ধারা সংযুক্ত করে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর