ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার আগে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে যায় খুনি কর্নেল রশিদ ও ফারুকরা। জাতির পিতাকে হত্যার বিষয়ে তার (জিয়ার) সম্মতি চায় খুনিরা। এ সময় জিয়া বলেছিলেন, ‘গো এহেড’। যখন একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কোনো অধস্তন কর্মকর্তাকে বলেন, ‘গো এহেড’, তখন এটা অর্ডার হয়ে যায়। তাই জিয়াউর রহমানের সরাসরি নির্দেশেই জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। সুতরাং জিয়াউর রহমান খুনি, তিনি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুনের ঘটনায় জড়িত। এটা প্রমাণিত। ক্যাপ্টেন তাজ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার আবরণে মূলত পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেননি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, শরিফ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন পাহারী বীরপ্রতীক, তাজুল ইসলাম, মীর ইকবাল, আবুল ফয়েজ, মাহামুদুল হক শাহজাদা, হারুন অর রশিদ, এম এ করিম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নির্বাচন নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেন। একই সঙ্গে গণতদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে আরও কারা জড়িত ছিলেন তাদের পরিচয় উন্মোচনের দাবি জানান।