শিরোনাম
শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
রায়হান হত্যা মামলা

চার্জশিট গ্রহণ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়ি হেফাজতে নির্যাতন করে যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অবশেষে আদালতে গৃহীত হয়েছে। বাদীপক্ষ নারাজি না দেওয়ায় চার্জশিট দাখিলের প্রায় সাড়ে চার মাসের মাথায় এসে সেটি আদালতে গৃহীত হলো। এদিকে চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

গতকাল অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তিনি নোমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ। তিনি জানান, আদালতে চার্জশিট গৃহীত হওয়ার সময় গ্রেফতার সব আসামি হাজির ছিলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ ফজল চৌধুরী জানান, চার্জশিটে নারাজি দেওয়ার মতো তেমন কিছু ছিল না। তাই নারাজি দেওয়া হয়নি। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেছে। আদালতে রায়হানের মা, স্ত্রী, সৎ বাবাসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ১০ অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তে প্রথমে পুলিশ ছিল। পরে ১৩ অক্টোবর মামলাটি স্থানান্তর করা হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে।

 ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক আওলাদ হোসেন আদালতে ১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন।

যে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয় তাদের পাঁচজনই পুলিশ সদস্য। তারা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ। অভিযুক্ত অপরজন আবদুল্লাহ আল নোমান, যার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। তার বিরুদ্ধে ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনো পলাতক রয়েছেন।

এদিকে পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তার শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ খবর