সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪) বলেছেন, ‘মাসদাইরের একটি ভোট কেন্দ্রের কাছে ১১ নভেম্বর যে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি দুঃখ পেয়েছি। বিষয়টি আমায় কষ্ট দিয়েছে। কারণ ভোটের সময় নয়, ভোট যখন হয়ে গেল তখন ঘটনাটি ঘটল।’ শামীম ওসমান গত সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলে তাঁদের উদ্দেশে বক্তৃতা করছিলেন। নবনির্বাচিতরা তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, গোপনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজর আলী প্রমুখ। নবনির্বাচিতরা এর আগে মাসদাইর কবরস্থানে শামীম ওসমানের পূর্বপুরুষদের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান এবং প্রয়াতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনের দিন মাসদাইরের ওই কেন্দ্রে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাটি ঘটেছিল। ভুল বোঝাবুঝি হোক বা যা-ই হোক সে এলাকার আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিনের সামনেই এটা ঘটে। আমি ওখানে না গেলে হয়তো বড় কোনো ঘটনা সাজানো হয়ে যেত।’
তিনি বলেন, ‘এখন তো পাতায় পাতায় আওয়ামী লীগ, তাই সতর্ক হতে হবে। আমি নারায়ণগঞ্জকে আবারও সংগঠিত করব। সোনারগাঁয়ের নির্বাচন শেষ হলে সবাইকে নিয়ে আমরা বসব। সবাই মিলে ফুলের মতো সুন্দর নারায়ণগঞ্জ শহর গড়ে তুলব।’