গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মদিন। মোমবাতি প্রজ্বালন, কবর জিয়ারত, সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে লেখককে স্মরণ করে তাঁর পরিবার, স্বজন, নুহাশপল্লীর স্টাফ, ভক্ত ও পাঠকরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে কবর জিয়ারত, দোয়া ও পুষ্পস্তক অর্পণ শেষে দুই পুত্রকে নিয়ে কেক কাটেন মেহের আফরোজ শাওন। এ সময় তার সঙ্গে শিশুপুত্র নিশাত ও নিনিতসহ নুহাশপল্লীর স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে অনেকে ভালোভাবে গবেষণা করছেন, পিএইচডি করছেন। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে পিএইচডি হচ্ছে, অনেকেই তাকে নিয়ে চর্চা করছেন।
সেই চর্চাটা বাড়ুক, ছাত্ররা হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে জানুক, সবাই তার সম্বন্ধে জানুক। তাকে নিয়ে ভুল কোনো চর্চা না হোক- এটা আমার একটা বড় প্রত্যাশা।
কারণ হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সম্পদ, সে সম্পদ নিয়ে ভালো মতো চর্চা হোক।নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের দৌলতপুর গ্রামের নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর প্রথম নাম ছিল শামসুর রহমান, পরে নাম পাল্টে হুমায়ূন আহমেদ রাখা হয়। তার ডাকনাম ছিল কাজল। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি আমেরিকার একটি হাসপাতালে ক্যান্সারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে তাঁকে গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচুগাছ তলায় দাফন করা হয়।
নুহাশপল্লীর ভাস্কর আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগের দিন শুক্রবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে শাওন তার দুই পুত্রকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে যান। রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশপল্লীর স্টাফরা ১০০১টি মোমবাতি প্রজ্বালন এবং কেক কাটেন।
এদিকে সকাল থেকেই ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে প্রিয় লেখকের কবরে শ্রদ্ধা জানান। তারা নুহাশপল্লী ঘুরেও দেখেন।