মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
সোনারগাঁয়ে রিসোর্টকাণ্ড

আদালতে সাক্ষ্য : ‘মামুনুল ও সেই মহিলা ৫০১ নম্বর রুমে ওঠেন’

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

সোনারগাঁয়ে রিসোর্টকাণ্ডের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গতকাল দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। রয়েল রিসোর্টের ম্যানেজার নাজমুল হাসান অনি, সুপারভাইজার আজিজ পলাশ ও নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্য রতন বড়াল সাক্ষ্য দেন। বেলা ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। তারা আদালতকে জানান, মামুনুলের সঙ্গে এক মহিলাও আসেন রিসোর্টে। তিনি সেই মহিলাকে নিয়ে ৫০১ নম্বর রুমে ওঠেন। সাক্ষ্য গ্রহণের আগে সকাল পৌনে ১০টায় কঠোর নিরাপত্তায় মামুনুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়।

মামুনুল হককে আদালত থেকে কারাগারে ফেরত নেওয়ার পর আদালত চত্বর থেকে দুজন হেফাজত কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, যাচাই-বাছাই চলছে। পরে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আদালত সূত্র জানায়, রিসোর্টের ম্যানেজার নাজমুল হাসান অনি আদালতকে জানান, মামুনুল হক নামাজ পড়তে এবং খাওয়া-দাওয়া করতে রিসোর্টে একজন মহিলা নিয়ে আসেন। এরপর রিসোর্টের রুম বুকিংয়ের জন্য ভাড়ার বিষয় জেনে নেন। কয়েকটি প্যাকেজের বিষয় জানানো হলে মামুনুল হক ৮ হাজার টাকার প্যাকেজটি গ্রহণ করেন। তখন তাদের ৫০১ নম্বর রুমটি দেওয়া হয়।

রিসোর্টের সুপারভাইজার আজিজ পলাশ তার সাক্ষ্যে বলেন, এক দিনের জন্য রিসোর্টের ৮ হাজার টাকা বিকাশে পরিশোধ করেন মামুনুল হক।

রিসোর্টের নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্য রতন বড়ালের সাক্ষ্যে উল্লেখ করা হয়- সেদিন আনসার সদস্য রতন ও ইসমাইল এবং তিনজন সিকিউরিটি গার্ডসহ গেটে পাঁচজন দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিকাল ৩টার সময় একটি গাড়ি চালিয়ে মামুনুল হক রিসোর্টে আসেন। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি ভিতরে যাবেন বললে গেট খুলে দেওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ হয় বলে জানিয়েছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ।

প্রসঙ্গত, মামুনুল হক গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে ওই রিসোর্টে স্থানীয় হেফাজতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় ৩০ এপ্রিল মামলা দায়ের করেন ওই নারী যাকে মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছিলেন।

সর্বশেষ খবর