কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিলুপ্ত প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী। রবিবার বিকালে এটি উপজেলার পশ্চিম কালুডাঙা মধ্যপাড়া গ্রামের জনৈক শফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশের মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল শকুনটি বনবিভাগে হস্তান্তর করেন এলাকাবাসী। এর আগে এটি এলাকাবাসীর হেফাজতে রাখা ছিল। উদ্ধার হওয়া শকুনটির ওজন প্রায় সাড়ে ৬ কেজি। এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিম কালুডাঙা মধ্যপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম রাজুর বাড়ির পাশে মাঠে শকুনটি উড়ে এসে পড়লে এলাকাবাসী ধরে ফেলেন।
পরে শকুনটিকে রাজুর বাড়ির উঠানে পায়ে দড়ি বেঁধে রাখা হয়। ওই এলাকার বাসিন্দা নূর আলম বলেন, কিছু কাক তাড়া করে শকুনটিকে এখানে ফেলে দেয়। পরে আমি ও কয়েকজন এলাকাবাসী মিলে সেটি উদ্ধার করি। শকুনটির উচ্চতা ২ ফুটের বেশি, দৈর্ঘ্য (পাখা মেলে) ৯ ফুট, ওজন সাড়ে ৬ কেজির মতো। তবে শকুনটি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের ধারণা, বিরল প্রজাতির এ শকুনটি প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে থাকতে পারে। হঠাৎ কাক দেখতে পেয়ে এটিকে তাড়া করে ও নাজেহাল করে। এ অঞ্চলে শকুনের অবাধ বিচরণ থাকলেও এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে। ওই এলাকার অপর বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের এলাকায় অনেক শকুন দেখা যেত। বিগত ৩০ বছর ধরে আর চোখে পড়ে না। আগে দেখেছি, অসুস্থ হয়ে কোনো গরুর মৃত্যু হলে খোলা জমিতে বা বাঁশঝাড়ে ফেলে দেওয়া হলে শকুনের দল উড়ে এসে খেয়ে ফেলত।উলিপুর উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা ফজলুল হক বিলুপ্ত প্রজাতির এ শকুনটি উদ্ধারের কথা স্বীকার করে বলেন, এটি অসুস্থ হওয়ায় তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সুস্থ করার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-16_07.jpg?v=1721145378)
-15-07-2024.jpg?v=1721145378)
