শিরোনাম
বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

এপিবিএন গাড়িচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি করতেন মো. সিদ্দিকুর রহমান (৩৩)। অফিসে যাওয়ার জন্য সকালে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুরের বটতলার বাসা থেকে মোটরসাইকেলে রওনা হন। মোটরসাইকেলটি গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানাধীন কসাইবাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পরপরই একটি বেপরোয়া ট্রাক সিদ্দিকুরকে চাপা দেয়। মুহূর্তেই ছিটকে পরে গুরুতর আঘাত পান তিনি। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলায় পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেখানকার চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন সিদ্দিকুরকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মো. সিদ্দিকুর রহমানের ঘাতক ট্রাকটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) রেশন বহনকারী যানবাহন। ঘটনার সময় বেপরোয়া গতির কারণেই সিদ্দিকুরের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়।

উত্তরা পূর্ব থানা সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে এপিবিএনের একটি ট্রাক ওই যুবককে ধাক্কা দিয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।  নিহতের স্ত্রী মোছা. মাহমুদা পারভীন জানান, আমার স্বামী বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসা থেকে মোটরবাইক নিয়ে বের হয় অফিসে যাওয়ার জন্য। পরে কসাইবাড়ি রেলগেট এলাকায় যাওয়া মাত্রই একটি দ্রুতগামী গাড়ি মোটরবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তার মধ্যে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।তিনি জানান, আমি সিএনজিচালক থেকে জানতে পেরেছি কোনো একটি পুলিশের গাড়ি নাকি আমার স্বামীর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছে। পরে পুলিশ স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, তার স্বামীর বাড়ি নাটোর সদর জেলার বড় হরিষপুর গ্রামে। সিদ্দিকুরের বাবার নাম আবদুর রব মিয়া। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর বটতলা এলাকায় থাকতেন তিনি। সিদ্দিকুর ভাইদের মধ্যে একাই ছিলেন। চার বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর