স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রতিবন্ধিতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের অর্থবহ জীবন গড়ে তোলা যায়, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রফেসর শোর। মনোবিজ্ঞানী সায়মা ওয়াজেদের নেতৃত্বে সূচনা ফাউন্ডেশন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য কর্মসূচি ও নীতি প্রণয়নের কাজ করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূচনা ফাউন্ডেশনের একাধিক রেজ্যুলেশন গ্রহণ করেছে, যা এদেশের জন্য গৌরবের।
গতকাল ভার্চুয়ালি আয়োজিত ‘প্রাচীর পেরিয়ে, স্টিফেন শোর-এর আত্মজীবনী ও অটিজম নিয়ে সায়মা ওয়াজেদের সাথে আড্ডা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি এতে অংশ নিয়ে অটিজম নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক স্টিফেন মার্ক শোর। অনুষ্ঠানে তাঁর লেখা ‘বিয়োন্ড দ্য ওয়াল’-এর বাংলা সংস্করণ ‘প্রাচীর পেরিয়ে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সূচনা ফাউন্ডেশন এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এটি সঞ্চালনা করেন ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন মিস জেইন পিয়ার্স, আদিবা ইবনাত পশলা, নিগার রহমান প্রমুখ।
থপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছেন।প্রধানমন্ত্রীকন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অ্যাচিভমেন্ট (অটিজমে) হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায় বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী অটিজম সচেতনতামূলক তৎপরতায় সম্পৃক্ত হয়েছেন। এতে অটিজম নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝেও অটিজম নিয়ে যে ধরনের নেতিবাচক ‘স্টিগমা’ ছিল সেটি থেকেও আমরা মুক্ত হতে পেরেছি। তিনি বলেন, অটিজম আমাদের সমাজেরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ; জাতীয় পর্যায়ে এ ধরনের একটা সচেতনতা তৈরি করা গেছে।