জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এত সমস্যা মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এ সেতু বাস্তবায়নের যারা বিরোধিতা করেছে তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের বাজেট অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম রওশন এরশাদ আরও বলেন, পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক লাইফ লাইনরূপে কাজ করবে। বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাণিজ্য, দক্ষিণ এশিয়ার সংযোগ, শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠা, কৃষি সম্প্রসারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বিরোধীদলীয় নেতা আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের বেশিরভাগ সময় আমরা পূর্ণ করেছি। দেশের সবকটি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি মনে করি, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচনটি হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক একটি নির্বাচন, যা গণতন্ত্রের মূলনীতি। দেশের উন্নয়নের জন্য টেকসই গণতন্ত্রের প্রয়োজন।আর সেজন্যই আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।
বাজেট প্রসঙ্গে বেগম রওশন এরশাদ বলেন, আমি মনে করি প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জগুলো হলো, আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। তেল, গ্যাস ও সারের মূল্যবৃদ্ধিজনিত বর্ধিত ভর্তুকির জন্য অর্থের সংস্থান। বেসরকারি বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে কর্মসৃজন। আমদানি সহনীয় পর্যায়ে রেখে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ স্থিতিশীল রাখা। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বর্তমান পর্যায়ে ধরে রাখা। করের আওতা বৃদ্ধি করে রাজস্বের পরিমাণ বাড়ানো ও বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনা।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, অতিভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে আকস্মিক ও স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বড় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সিলেট, উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের যা দরকার তা হলো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ, যাতে করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে অবিলম্বে সাহায্য পৌঁছানো যায়। ত্রাণ ও চিকিৎসা দলগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পাঠানো দরকার।