ভারতের আসামে জঙ্গি সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি) এবং আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশীয় শাখার (একিউআইএস) সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে রাজ্য পুলিশের তরফে বলা হচ্ছে। সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে একটি মাদরাসা। রাজ্য পুলিশের ডিজি (স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ) হিরণ নাথ গতকাল জানান, ‘জঙ্গি সংগঠন এবিটি’র সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে গত বুধবার গোয়ালপাড়া জেলা থেকে আব্বাস আলী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বঙ্গাইগাঁও জেলার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অতিরিক্ত আরও আটজনের সন্ধান মেলে। এর মধ্যে সাতজনকে বরপেটা জেলা থেকে এবং একজনকে গুয়াহাটিতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একাধিক ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ও আপত্তিকর নথি পাওয়া গেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জঙ্গি কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে মধ্য আসামের মরিগাঁও জেলার মৈরাবাড়ি এলাকায় মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে মুফতি মুস্তাফা আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
‘জমিউল হুদা’ নামে তিনি যে মাদরাসাটি পরিচালনা করতেন সেটাও সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের বরাতে বলছে, বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল মুফতির। তার পরিচালিত মাদরাসা জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করা হতো বলে দাবি করেছে পুলিশ। মুফতির বিরুদ্ধে ‘আনলফুট অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট’ (ইউএপিএ)-এ মামলা করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মুফতির ব্যাংক অ্যাকাউন্টও।হিরণ নাথ আরও জানান, গতকাল তাকে আদালতে পাঠালে ১২ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন আদালত।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনসহ অন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততার নির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে রাজ্য পুলিশের সদস্যরা অভিযান চালান এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়।’