চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত ও বিচার দাবিতে লাশ নিয়ে অনশনের ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলার প্রধানপাড়া গ্রামে অভিযুক্তের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনশন করেন এলাকাবাসী। পরে নগদ ১ লাখ ও ৫ লাখ টাকার চেক দিলে রাত ৩টার দিকে চাকরিপ্রার্থীর বাবা দবিরুল ইসলামের লাশ ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়। দবিরুল টাকার শোকে স্ট্রোক করে মারা যান। গতকাল সকাল ১০টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় সাতমেরা ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, অনশনের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। উভয় পক্ষকে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন। অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে তার বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যরাও বাড়িতে ছিলেন না।
জানা যায়, সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া মাদরাসার সভাপতি জুলফিকার আলম প্রধান দুই বছর আগে লাইব্রেরিয়ান পদে জাকিরুল ইসলামকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার বাবা দবিরুল ইসলামের কাছ থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা নেন। দুই মাস আগে জুলফিকারের সভাপতির মেয়াদ শেষ হয়। দীর্ঘ সময়েও চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত দিতে চাপ দেয় জাকিরুলের পরিবার। নানা টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করছিলেন জুলফিকার। ২০-২৫ দিন আগে দবিরুল আবার টাকা চাইলে উল্টো তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। অপমান সইতে না পেরে বাড়ি এসেই স্ট্রোক করেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট আবার স্ট্রোক করেন দবিরুল। রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান তিনি। এলাকাবাসী দবিরুলের লাশ জুলফিকারের বাড়িতে রেখে অনশন শুরু করেন।