মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

হত্যায় স্বামী, লাশ গুমে গিয়ে ফাঁসলেন বাড়িওয়ালা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ নগরে বিবস্ত্র এক অজ্ঞাত নারীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত ওই নারীর নাম তাসলিমা (৩২)। তাসলিমাকে খুন করে তার স্বামী মেহেদী হাসান (২২)। হত্যার পর স্বামী পালিয়ে গেলে গত শুক্রবার লাশ বস্তাবন্দি করে ময়মনসিংহে ফেলে যায় বাড়িওয়ালা স্বপন ব্যাপারী (৩৮)।

গতকাল দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফুলপুরের গোয়াডাঙ্গা এলাকার মেহেদির সঙ্গে বিয়ে হয় তাসলিমার। এটি ছিল তাসলিমার তৃতীয় বিয়ে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ ছিল। সেই কলহের জেরেই তাসলিমাকে  হত্যা করে তার স্বামী। তিনি আরও জানান, বিয়ের পর থেকে তাসলিমা তার স্বামী মেহেদীকে নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করছিলেন। গত ১১ অক্টোবর স্বামী-স্ত্রী সেখান থেকে গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকায় স্বপন নামের ব্যক্তির ভাড়া বাসায় ওঠে। পরদিন রাতে ওই বাসায় স্ত্রী তাসলিমাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী মেহেদী। গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বাড়ির মালিক স্বপন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে বাসায় যান। এ সময় দরজার কড়া নেড়ে ভিতরে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ধাক্কা দেন এবং দরজা খুলে তাসলিমার বিবস্ত্র মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ভয়ে পুলিশ কিংবা কাউকে কিছু না জানিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দিনভর ঘর বন্ধ রাখার পর ওই রাতে লাশ বস্তাবন্দি করে স্বপন নিজের প্রাইভেটকারে করে নির্জন স্থানে ফেলে দিতে ময়মনসিংহের দিকে রওনা দেন। কোথাও সুবিধাজনক স্থান না পেয়ে অবশেষে ময়মনসিংহের আকুয়া-রহমতপুর বাইপাসের বাদেকল্পা এলাকায় ওই নারীর লাশ ফেলে পালিয়ে যায় স্বপন ও তার সহযোগীরা। কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই নিরুপম নাগ ও এসআই মিনহাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রবিবার রাতভর গাজীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী স্বামী মেহেদি ও বাড়িওয়ালা স্বপনকে গ্রেফতার এবং গুমের উদ্দেশে লাশ বহনকারী প্রাইভেটকারটি জব্দ করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুজনকে গতকাল দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর