বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

‘উন্নত দেশগুলোর কারণে ঘূর্ণিঝড়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, উন্নত দেশগুলোর কারণে আলাদা জলবায়ু তহবিল গঠিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় তহবিল সংকটের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বৈশি^ক তাপমাত্রা ইতোমধ্যে প্রাক-শিল্পযুগ থেকে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বব্যাপী ঘন ঘন বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও দাবানলের ঘটনা প্রকটতর হয়েছে। কার্বন নিঃসরণকারী জীবাশ্ম জ্বালানি, বিশেষ করে কয়লার ব্যবহার ও রপ্তানি বেড়েছে এবং কয়লাভিত্তিক জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়নও বৃদ্ধি পেয়েছে।

 মিশরে অনুষ্ঠেয় কপ২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে তাদেরই স্বার্থে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে।

গতকাল এক বিবৃতিতে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, মিশরের শার্ম আল শেখে আগামী ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর ইউনাইটেড ন্যাশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর ২৭তম সভা বা কনফারেন্স অব পার্টিজ (কপ২৭) অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর উচিত হবে উন্নত দেশের প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণবাবদ প্রদেয় অর্থ  সময়াবদ্ধভাবে সরবরাহে একটি রোডম্যাপ ঘোষণায় উন্নত দেশগুলোকে রাজি করানো।  ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর জলবায়ু অর্থায়ন হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানে উন্নত দেশগুলো ব্যর্থ হয়েছে। জলবায়ু তহবিল ‘উন্নয়ন সহায়তার বাড়তি’ এবং ‘নতুন ও অতিরিক্ত’ হলেও কোনোরকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই উন্নয়ন সহায়তার সঙ্গে জলবায়ু অর্থায়নকে মিলিয়ে গত দুই বছরে তারা মাত্র ৮৩.৩ বিলিয়ন প্রদান করেছে, যার মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল। ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ক্রমবর্ধমান অভিযোজন ও প্রশমন চাহিদা মেটানোর জন্য অর্থায়নের নতুন সম্মিলিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দেয়নি। চলমান ও প্রস্তাবিত কয়লা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ১১৫ মিলিয়ন টন বাড়তি কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করবে, যা কার্বন নিঃসরণ কমানো সংক্রান্ত সরকারের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপসহ প্রস্তাবিত ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান-আইইপিএমপিতে কৌশলগতভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে গুরুত্ব দিতে হবে; বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধিতে এ খাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে; জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত সব প্রকল্পে সুশাসন, শুদ্ধাচার ও বিশেষ করে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর