সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম নিউইয়র্কে ২৫ নভেম্বর প্রবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, করোনা মহামারির পরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ঝাঁকুনিতে গোটা বিশ্ব টালমাটাল অবস্থায়। এ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের ইকোনমি এখনো শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আমাদের ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ এখনো বাংলাদেশের ৩২ বিলিয়ন ডলার। তবে এই রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। কারণ আমাদের অনেক কিছুই আমদানি করতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই আমদানি করতে পণ্যমূল্য যে হারে বেড়েছে, সে তুলনায় আমাদের রিজার্ভ বাড়েনি। এর ফলে ফরেন কারেন্সির ওপর একটু চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবুও আমাদের যে রিজার্ভ রয়েছে তার মাধ্যমে হান্ড্রেড পার্সেন্ট ইমপোর্ট করা সম্ভব। আরেকটি বিষয় জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, চলতি অর্থবছরের গত চার মাস অর্থাৎ জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের ফরেন কারেন্সির যে চাহিদা ছিল তার সমন্বয় ঘটেছে রেমিট্যান্স এবং রপ্তানির মাধ্যমে। অর্থাৎ এই চার মাসে আমদানি-রপ্তানিতে কোনো নেগেটিভ অবস্থা ছিল না।
এখন পর্যন্ত পজিটিভ গ্রোথ আছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তাতে কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের পরিচালক আতাউর রহমান, ‘সোনালী এক্সচেঞ্জ’-এর প্রধান নির্বাহী দেবেশ্রী মিত্র।সোনালী এক্সচেঞ্জের উদ্যোগে জ্যামাইকায় একটি রেস্টুরেন্টে ‘বৈদেশিক রেমিট্যান্স এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভার সঞ্চালনা করেন সংস্থাটির করপোরেট অফিসের ম্যানেজার শাহাদৎ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আহসান হাবিব, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নারগিস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাসুদুল হাসান, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১-এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট সৈয়দ মোস্তফা আল আমিন রাসেল প্রমুখ।