পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বৈঠকগুলো হয় সেখানে সব সময় সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়টি আমরা ব্যক্ত করি। সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে, সেখানকার আলোচনায় দুই রাষ্ট্রই চায় সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে। সীমান্তে একটা মৃত্যুও আমরা চাই না। লালমনিরহাট চার্চ অব গড উচ্চবিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, মিশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহিদার রহমানসহ বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রায় ৫ হাজার সাবেক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও সীমান্তবর্তী একটি আসনের সংসদ সদস্য। পদ্মার ওপারে ভারত এপারে আমার নির্বাচনী এলাকা। সীমান্তে হত্যা বন্ধের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। দুই রাষ্ট্রের বিধিবিধান রয়েছে যাতে ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়া কেউ না যান। অঙ্কের হিসাবে সীমান্ত হত্যা কমে এসেছে। কিন্তু একটা মৃত্যুই অনেক, তাই সীমান্তে একটা মৃত্যুও আমরা চাই না। আশা করি সামনের দিকে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামবে। পরিবারে একজন সদস্য বাংলাদেশি, আরেকজন ভারতীয় এ রকমও আছে। নিশ্চিত করে বলতে গেলে এ বছর সীমান্ত হত্যা কম। তবে আমরা বলব একটা মৃত্যুও চাই না। তিনি বলেন, পাকিস্তান-পরবর্তী সময় থেকে মোগলহাটের রেললাইনটি চালু ছিল। সেখান থেকে কয়লা আসত, আমরা দুই রাষ্ট্র মিলে পুরনো যত যোগাযোগের পয়েন্টগুলো রয়েছে তা পুনরায় চালু করব। তবে সেখানে বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। এখানে যোগাযোগসহ সার্বিক দিক দেখতে হয়। আমি এখানকার চেম্বারের সঙ্গে বসব। তারা আমায় অনুরোধ করেছেন। অবশ্যই যদি এখানে যথেষ্ট ব্যবসায়িক চাহিদা থাকে আমদানি ও রপ্তানি করার, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এখানকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও জনপ্রতিনিধিরা মনে করলে এটা চালু করা সম্ভব। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে মোগলহাট স্থলবন্দর চালুর বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানাব।