বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

আজ ২৯ ডিসেম্বর কিংবদন্তি শিল্পী জয়নুল আবেদিনের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯১৪ সালের এদিনে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার বর্তমান কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।

ছেলেবেলা থেকেই শিল্পকলার প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে কলকাতায় গিয়েছিলেন শুধু গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টস দেখার জন্য। জন্মদিন উদযাপনে তিন দিনের জয়নুল মেলার আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। জয়নুল সম্মাননা, শিল্পকর্মের প্রদর্শনী ও লোকশিল্প মেলা দিয়ে সাজানো থাকবে তিন দিনের এ আয়োজন।

 

 তাঁর মা জয়নুল আবেদিনের আগ্রহ দেখে নিজের গলার হার বিক্রি করে ছেলেকে কলকাতার তখনকার আর্ট স্কুলে ভর্তি হতে সাহায্য করেন।

জয়নুল আবেদিনের উদ্যোগে পুরান ঢাকার জনসন রোডের ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুলের একটি জীর্ণ কক্ষে গভর্নমেন্ট আর্ট ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র সংখ্যা ছিল মাত্র ১৮ জন। জয়নুল আবেদিন ছিলেন এ প্রতিষ্ঠানের প্রথম শিক্ষক। ১৯৫১ সালে এই আর্ট ইনস্টিটিউট সেগুনবাগিচার একটি বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৬ সালে আর্ট ইনস্টিটিউটটি শাহবাগে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৬৩ সালে এটি একটি প্রথম শ্রেণির সরকারি কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং এর নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর একই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়’। তাঁর বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে : দুর্ভিক্ষ, মই দেওয়া, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড়, কাক, বিদ্রোহী, নৌকা, সংগ্রাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ম্যাডোনা ইত্যাদি। ১৯৬৯ সালে অঙ্কিত ‘নবান্ন’ এবং ১৯৭৪ সালে অঙ্কিত ‘মনপুরা-৭০’ তার দুটি জননন্দিত শিল্পকর্ম। তার চিত্রকর্মের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংগৃহীত তার শিল্পকর্মের সংখ্যা ৮০৭টি। তিনি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন। ১৯৭৬ সালের ২৮ মে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

সর্বশেষ খবর