দেশের আট বিভাগেই দুই-একটি স্থানে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সঙ্গে কুয়াশার দাপটও বাড়তে পারে। এতে সারা দেশে শীতের দাপট বাড়তে পারে। পৌষের শেষ দিনে অনেক এলাকায় হাড়কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। দিনের বেশির ভাগ সময় কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। নাজুক অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষের। উত্তরে হিমালয় কাছে হওয়ায় বরাবরই শীতের প্রকোপ একটু বেশিই থাকে পঞ্চগড়ে। হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। সপ্তাহজুড়ে চলছে মাঝারি শৈতপ্রবাহ। আগের চেয়ে কমেছে তাপমাত্রাও।

শুক্রবার এ জেলার তাপমাত্রা ছিল আট দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস যা, গতকাল একেবারে কমে হয়েছে ছয় দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটছে ছিন্নমূলদের। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টায় দেশের কিছু অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বা রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেক অঞ্চল থেকে শৈত্যপ্রবাহ দূর হয়েছে। আজ শৈত্যপ্রবাহ আরও কমে যেতে পারে। তবে গতকাল রাতের পর থেকে তাপমাত্রা ফের কমতে শুরু করছে। গতকাল সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। যা চলতি শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এক দিন পর তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।