বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

‘কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন ছাড়া অন্যগুলো ছিল অপ্রয়োজনীয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন ছাড়া বাকি ৯টি কমিশন ছিল অপ্রয়োজনীয়। ‘মৌলবাদের চাপের মুখে পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাহার : শিক্ষাক্ষেত্রে অশনি সংকেত’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন হলে গতকাল এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হাসান বাদশা এমপি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

, সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অদিতি আদৃতা সৃষ্টি।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, অনতিবিলম্বে এ দেশের প্রগতিশীল শিক্ষাবিদ নিয়ে এ বিষয়ে কমিটি করা উচিত। সরকার এখন মাদরাসায় অনুদান বেশি দিচ্ছে। মাদরাসার আধিক্য বেশি। এমপিরা বলছেন, মাদরাসার নামে আবেদন করলে অনুদান বেশি পাওয়া যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে রবীন্দ্র ভাস্কর্য ভেঙে ফেলল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন অপরিপক্ব কাজ তারা কীভাবে করতে পারে!

শাহরিয়ার কবির বলেন, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের বই প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা বলেন, এখানে নাকি উপাস্য দেব-দেবীর ছবি ছিল। এসব বই যদি শিক্ষার্থীরা না পড়ে তাহলে তারা মেসোপটেমিয়া সভ্যতা, ভারতীয় সভ্যতা এসব সভ্যতার ইতিহাস জানবে কেমন করে। বিজ্ঞান যদি না পড়ে তাহলে বিজ্ঞানমনস্ক জাতি কীভাবে তৈরি হবে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের ধরা হয় না। সমাজে অশান্তি সৃষ্টির মতলবে বিষোদ্গার ছড়ায় এরকম ওয়াজি ১১৬ জনের তালিকা আমরা দিয়েছি। এদের কার্যকলাপ বন্ধ করার উদ্যোগ নেই।

ফজলে হাসান বাদশা বলেন, আমার এলাকায় একটি মাদরাসায় রাষ্ট্রীয় কোনো নীতি মানা হতো না। আমরা কিছুদিন আগে তাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীতের ব্যবস্থা করেছি। এনসিটিবি যে বই বের করছে তাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনো উপাদান নেই। কোনো গল্প নেই। তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে আমাদের আন্দোলন, আমাদের দাবি, কর্মসূচি শেখাতে হবে। তাঁর মতে, যারা ’৭২-এর সংবিধান পড়বে না তাদের গ্রাজুয়েশন দেওয়া উচিত হবে না।

সর্বশেষ খবর