বুধবার, ৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

আমদানি-রপ্তানিতে ডলারের একক রেট করার সুপারিশ আইএমএফের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানি-রপ্তানি ক্ষেত্রে ডলারের রেট একক করার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল)। তারা জানতে চেয়েছে কবে এই একক ডলারের রেট হবে।

গতকাল আইএমএফের ছয় সদস্যের স্টাফ মিশন সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করে এ সুপারিশ করেছে। সফরকারী আইএমএফ মিশনটি গতকাল চলে যাওয়ার কথা থাকলেও স্টাফ মিশনের প্রধান রাহুল আনন্দ জাবান সফরটি ৭ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব বলেন, আইএমএফ মিশন দেশের রপ্তানি সংযুক্ত তিনটি বিষয় জানতে চেয়েছে এবং মার্কিন ডলারের আমদানি রপ্তানি রেট একক করার পরামর্শ দিয়েছে। তিনি বলেন, মিশন সুপারিশ করেছে ডলারের রেট একক করলে অবশ্যই আমদানি-রপ্তানি দুই পক্ষই সুবিধা পাবে। আমি বলেছি বাংলাদেশ ব্যাংক এ নিয়ে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার ৩০ এপ্রিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) মার্কিন ডলারে নতুন দর নির্ধারণ করেছিল- রপ্তানি ১০৬ আর প্রবাসী আয়ের ১০৮ টাকা।

এর আগে ২ এপ্রিল দুই অ্যাসোসিয়েশন রপ্তানি বিল নগদায়নে ব্যাংকগুলো ডলার দাম নির্ধারণ করেছিল ১০৫ টাকা আর প্রবাসী আয়ে ১০৭ টাকা হারে।

সিনিয়র বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, আইএমএফের মিশনটি আরও জানতে চেয়েছে চলতি বছর রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে কি না। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে এ দেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না। গত বছর থেকে রপ্তানি আয় একটু কম হতে পারে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার বা ৫৮ বিলিয়ন নির্ধারণ করেছিল। এদিকে দেশের ব্যবসায়ীদের শঙ্কার মধ্যেই আবার পিছুটান দিয়েছে রপ্তানি আয়ে। সদ্য শেষ হওয়া মার্চে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমেছে মোট রপ্তানি আয়।

১ এপ্রিল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, মার্চে বাংলাদেশ থেকে ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও মোট আয় সাড়ে ৭ শতাংশ কম।

মার্চে রপ্তানি ঋণাত্মক হলেও চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তিন প্রান্তিক মিলিয়ে (জুলাই থেকে মার্চ) রপ্তানি আয়ে ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। মার্চ শেষে দেশের মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৭২ কোটি ১৬ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ ডলার।

আইএমএফের প্রতিনিধি দল তৃতীয় বা শেষ যে বিষয়টি জানতে চেয়েছে তা হলো রপ্তানি আয় পাচার হয়ে যাচ্ছে কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, রপ্তানি আয় পাচার করার কোনো রকম ঘটনা ঘটেনি।

সর্বশেষ খবর