সিলেটে সড়কের পানি নিষ্কাশনের জন্য রাস্তা কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সিলেট জালালাবাদ থানার মইয়ারচর ও পার্শ্ববর্তী সোনাতলা এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা এ সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। এর মধ্যে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, বিরোধের বিষয় নিয়ে গতকাল বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয়ভাবে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আলোচনাসাপেক্ষে পানি নিষ্কাশনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার সকালের বৃষ্টিতে সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওই সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে। সড়ক খুঁড়ে মাটি রাস্তার পাশে রাখায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেই পানি দ্রুত নিষ্কাশনের দাবিতে বুধবার সকালে মহানগরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের মইয়ারচর, নয়া খুররমখলা, নাজিরেরগাঁওয়ে বাসিন্দারা কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়ক অবরোধ করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সিসিক মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ফোন করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। পরে পানি নিষ্কাশনের জন্য সিটি করপোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের পার্শ্ববর্তী সোনাতলা এলাকার একটি রাস্তা কাটতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন। আর এই বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোনাতলা এলাকাবাসীর সঙ্গে মইয়ারচর, নোয়াখুররমখলা, নাজিরেরগাঁও গ্রামের লোকদের সংঘর্ষ হয়।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার ওসি সাইফুল আলম রুকন জানান, বুধবার রাতে মামলাটি করা হয়। এতে অজ্ঞাত ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে গতকাল বিকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।