রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা

জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতায় হুমকিতে পরিবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জৈব জ্বালানির ওপর নির্ভরতার কারণে বহুমুখী ক্ষতির মুখে দেশ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, হুমকিতে পড়েছে জ্বালানি নিরাপত্তা। আবার জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করতে গিয়ে ব্যয় হচ্ছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ খাতের পাশাপাশি পরিবহনেও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

গতকাল প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সেমিনার রুমে ‘নির্মল বায়ু এবং জ্বালানি নিরাপত্তায় নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং আরবান প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ আয়োজন করে। সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল পরিবেশ উদ্যোগ, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ) ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের পরিচালক মো. জাকির হোসেন। মূল বক্তব্য প্রদান করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্রের (সিইআর) পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের উপপরিচালক মঞ্জু মারিয়া পালমা, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান, আর্থ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মাদ মামুন মিয়া, বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের সদস্য সচিব মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের মোহন কুমার দাস, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাহমুদা ইসলাম, মাহমুদা পারভীন, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণগুলোর মধ্যে ৭০ শতাংশ দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানি। নির্মল বায়ু মানুষের অধিকার কিন্তু ঢাকা শহরের অধিবাসীরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত। জৈব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে হবে। এতে জ্বালানি নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সোলার এবং বায়ুকল। এগুলোকে সঠিক গবেষণার মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো অসম্ভব নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর