সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসানের উদ্দেশে হাই কোর্ট বলেছেন, ‘আপনি জনপ্রতিনিধি। আর জনপ্রতিনিধির কাজ মানুষের সেবা করা। থ্রেট দেবেন না। আপনি ব্যাংকগুলোকে সহযোগিতা করতে পারতেন।’ গতকাল বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
আদেশে অবিলম্বে মেয়র তাসকিন আহমেদকে সব ক্ষমতা (চেক বই, রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য) বুঝিয়ে দিতে কাজী ফিরোজ হাসানের প্রতি নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। এ সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র ফিরোজ হাসানকে ‘সন্ত্রাসীর মতো আচরণ’ না করতে সতর্ক করা হয়েছে। শুনানিতে কাজী হাসানের উদ্দেশে হাই কোর্ট বলেন, ‘আদালতের আদেশ মান্য করুন। আর অমান্য করলে আপনাকে শাস্তি দেওয়া হবে, জরিমানা করা হবে।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত আরও বলেন, ‘আরেকবার অভিযোগ পেলে এমন জরিমানা করা হবে, যাতে সারাজীবনে পরিশোধ করতে না পারেন। এ সময় প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসান আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।’
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান। অন্যদিকে মেয়র তাসকিন আহমেদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি মেয়র তাসকিন আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসানকে আর্থিক ক্ষমতাসহ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেয়। পরে ওই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করেন মেয়র তাসকিন আহমেদ। পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আর্থিক ক্ষমতাসহ বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন হাই কোর্ট। কিন্তু এরপরেও কাজী ফিরোজ হাসান নিজেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দাবি করে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় কাজী ফিরোজ হাসানকে তলব করেন হাই কোর্ট। তাকে হাই কোর্টের আদেশ প্রতিপালন না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। পাশাপাশি রুলও জারি করা হয়। ওই আদেশ অনুসারে কাজী ফিরোজ হাসান আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।
