বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাজেটে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি অবহেলা করা হয়েছে

-হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, বাজেটে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি সীমাহীন অবজ্ঞা, অবহেলা ও বৈষম্য সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্যের কোনো পরিবর্তন আসেনি, এমন অভিযোগ করে পরিষদের নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আয়োজক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক। এ ছাড়া প্রেসিডিয়াম সদস্য মিলন কান্তি দত্ত, ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন খাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া ধর্মীয় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণে গঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন চলে বাজেট বরাদ্দ থেকে। আর হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টগুলো চলে আমানতের সুদের টাকায়। আরও বলা হয়, হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রাতিষ্ঠাতিক ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার একমাত্র সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড।

 এই বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ফলে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় শিক্ষা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে। আর হিন্দু সম্প্রদায় সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় চেতনাহীন ও নৈতিক শিক্ষাহীন হয়ে গড়ে উঠছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক মাসে সর্বসাকুল্যে ১৭৯ টাকা পেয়ে থাকেন। এসব বিষয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করলেও এটি সরকারের বিবেচনায় আসেনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন রানা দাশগুপ্ত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজস্ব বাজেট থেকে বার্ষিক বরাদ্দ প্রদান করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টগুলোকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তরকরণ; সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন; সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন; সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঠিক শুমারির উদ্যোগ গ্রহণ; প্রতিটি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মডেল মন্দির/প্যাগোডা/গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন; বাজেটে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে ৫ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ; বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের অধীন কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জাতীয় পে-স্কেলভুক্তকরণ।

সর্বশেষ খবর