বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বগুড়ায় মাদরাসার অধ্যক্ষের হাত-পা ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শেরপুরে জামুর ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল মান্নানকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের টুনিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আবদুল মান্নান উপজেলার একই ইউনিয়নের জামুর গ্রামের মৃত ওলি মাহমুদের ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান জানান, মাদরাসার জলাশয় জোরপূর্বক দখলে নিতে স্থানীয় চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মরিয়া হয়ে ওঠে। এ জন্য একাধিক তাকে হুমকি-ধমকিও দেয় তারা। বিষয়টি লিখিতভাবে জানাতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে যান তিনি। পরে ইউএনও’র পরামর্শে তিনি থানায় অভিযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেনও ছিলেন। কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাচ্ছিলেন তারা।

পথিমধ্যে টুনিপাড়ায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলটির গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা মাদরাসার সভাপতি দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা লোহার রড দিয়ে তাকে উপর্যুপরি পেটাতে থাকে। সেই সঙ্গে তার শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় তারা। কিছু সময় পর জ্ঞান ফিরে এলে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ হামলার ঘটনায় ১৫-২০ সশস্ত্র ব্যক্তি অংশ নেয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী আবদুল মান্নান।

হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, মাদরাসা অধ্যক্ষের দুটি হাত ও একটি পা ভেঙে গেছে। এ ছাড়া শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত হলেও তাকে দীর্ঘসময় চিকিৎসাধীন থাকতে হবে বলে জানান চিকিৎসক।

শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা জানান, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর