শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মেয়াদোত্তীর্ণদের নিয়েই বসছে জাবির সিনেট অধিবেশন

রুবেল হোসাইন, জাবি

মেয়াদোত্তীর্ণ সিনেটরদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০তম সিনেট অধিবেশন। আজ শনিবার বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত হবে এই সিনেট অধিবেশন। এতে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৭৩ এর ১৯(১) ধারা অনুসারে ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হয়। এর মধ্যে উপাচার্যসহ চারজন এবং সরকার কর্তৃক মনোনীত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদাধিকার বলে নিয়মিত মেয়াদে রয়েছেন।

তবে অধ্যাদেশের ১৯(১) এর ‘জে’ ধারা অনুসারে শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ২০১৮ সালের অক্টোবরে। অধ্যাদেশের ১৯ (১) এর ‘আই’ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। এতে নিয়ম অনুযায়ী সিনেটের ৫৮টি সদস্যপদে নতুন করে নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া সিনেটে স্পিকার মনোনীত পাঁচজন সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রপতি মনোনীত পাঁচজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সিন্ডিকেট মনোনীত পাঁচজন গবেষক এবং একাডেমিক কাউন্সিল থেকে পাঁচজন কলেজ অধ্যক্ষ রয়েছেন, যাদের সবার মেয়াদ প্রায় দুই বছর আগে শেষ হয়েছে।

অধ্যাদেশের ১৯(১) এর ‘কে’ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ বিগত তিন দশক ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে আসন্ন সিনেটকে ‘অপূর্ণাঙ্গ’ উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিকে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় সিনেট অধিবেশনের নৈতিক বৈধতা নেই বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকবৃন্দ।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেটরদের দায়িত্ব ততক্ষণ পর্যন্ত বহাল থাকবে, যতক্ষণ না তাদের উত্তরাধিকার নির্বাচিত, মনোনীত ও নিয়োগপ্রাপ্ত হয়।

ফলে ধারা অনুযায়ী ওই সদস্যদের পদ শূন্য হচ্ছে না। তবে আমরা জাতীয় নির্বাচনের পরে জাকসু, সিনেটসহ অন্যান্য সব প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নির্বাচনের আয়োজন করব।

সর্বশেষ খবর