ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গুণবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের ভয়ে গ্রামটি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন গ্রামের গৃহবধূরা। আহতরা হলেন- মো. আনোয়ার হোসেন (৫০), ওবায়দুর রহমান (৪৫), ইমরুল (৩৫), মঞ্জু (৫২), মিঠুন মোল্লা (৪৮), বাকিয়ার মোল্লা (৬০) প্রমুখ। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার গুণবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জু এবং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. বাকিয়ার মোল্লার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঈদুল আজহার আগে মঞ্জুর মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে একই পক্ষের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহেব আলীর সঙ্গে মঞ্জুর দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। তারা দুজনই সাবেক মেম্বার। এক পর্যায়ে মঞ্জু মেম্বার প্রতিপক্ষ বাকিয়ার মোল্লার সঙ্গে মিলে যান। শুক্রবার বিকালে মঞ্জু ও বাকিয়ার একত্রে অনুসারীদের নিয়ে হরিহরনগর বাজারে চা পান করতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাহেব আলী মেম্বার লোকজন নিয়ে মঞ্জু মেম্বারের অনুগত সরোয়ারকে (৬০) কুপিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার জেরে গতকাল সকালে প্রতিপক্ষের আক্রমণে সাহেব আলী মেম্বার আহত হন। পরে পার্শ্ববর্তী যুগীবরাট গ্রামের পান্নু কাজী এবং উথলী গ্রামের আজিজ মাতুব্বরের নেতৃত্বে একদল লোক সাহেব আলী মেম্বারের অনুসারীদের সঙ্গে যোগ দেন। এক পর্যায়ে মঞ্জু মেম্বার ও বাকিয়ারের পক্ষের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বাকিয়ার ও সাহেব আলী মেম্বারের বাড়িতে খবর নিতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল ওহাব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষেরই যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।